প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনাবিরোধী বলে মন্তব্য করেছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
আজ মঙ্গলবার ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট বিশ্লেষণ করতে গিয়ে এ মন্তব্য করেছে সিপিডি।
গতকাল অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জাতীয় বাজেট পেশ করেন।
এর আগে, গত বছর জুলাইয়ে শুরু হওয়া গণঅভ্যুত্থানের পর শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয় ৫ আগস্ট। এরপর ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়।
সিপিডি জানায়, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত কর ব্যবস্থায় সরকার ব্যক্তি পর্যায়ে নির্ধারিত বিশেষ কর প্রদানের মাধ্যমে ভবন, বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট বা ফ্ল্যাট কেনার সুযোগ রেখেছে। যদিও করের হার উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানো হয়েছে।
আজ রাজধানীর হোটেল লেকশোর সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘আমরা সব সময় বলে আসছি—অবৈধ অর্থ বৈধ করার এ ধরনের সুযোগ সৎ করদাতাদের নিরুৎসাহিত করে।’
সিপিডি বলছে, কর কর্তৃপক্ষের কর আইন ও বিধিমালা প্রয়োগের দিকে মনোনিবেশ করা উচিত।
সিপিডি তাদের পর্যবেক্ষণে বলেছে, অন্তর্বর্তী সরকার যখন অবৈধ আয়, অবৈধ লেনদেন, অর্থপাচার রোধে ব্যবস্থা নিচ্ছে, তখন এ ধরনের উদ্যোগ জনগণের কাছে ভুল বার্তা পাঠানোর ঝুঁকি তৈরি করছে।
সিপিডির পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘এটা জুলাইয়ের চেতনার পরিপন্থি।’
ফাহমিদা খাতুনের মতে, অতীতে এ ধরনের বিধান দেওয়া সত্ত্বেও যথেষ্ট পরিমাণ রাজস্ব আদায় হয়নি।
তিনি বলেন, ‘যদি কোনো সরকার অবৈধ আয়কে বৈধতা দিতে চায়, তবে তা কঠোরভাবে এককালীন ব্যবস্থা হিসেবে বিবেচনা করা উচিত।’
খুলনা গেজেট/এনএম